দাওয়াতের কাজ আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার মাধ্যম :
মাওলানা মুহাম্মদ সা’দ
[২২ জানুয়ারি ২০১১, শুক্রবার, বাদ মাগরিব ইজতেমা মাঠে প্রদত্ত বয়ান]
দাওয়াত হলো আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার মাধ্যম। আকীদা-মুআমালা, মু’আশারা ও আখলাক ঠিক হবে দাওয়াতের মাধ্যমে। দীন শুধু কল্পনার নাম নয়। প্রিয় নবীজী যা নিয়ে দুনিয়ায় প্রেরিত হয়েছে তার সামগ্রিক এক চিত্রের নাম দীন। তিনি সাহাবায়ে কেরামকে পূর্ণ দীনের ওপর উঠিয়েছেন। সাহাবায়ে কেরাম হলেন দীনের বাস্তব প্রতিচ্ছবি। উম্মত আজ জেহনী ইরতিদাদের শিকার। মুআমালা, মুআশারা, আখলাক ও দীনের অন্যান্য বিভাগে অনেকেই ইরতেদাদ-ধর্মচ্যুতিতে লিপ্ত। উম্মত দাওয়াতের কাজ থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণে এই অবস্থা। উম্মত যখন এই কাজ ছেড়ে দিবে তখন তারা অন্য জাতি ও ধর্মের দ্বারা মাদয়ূ-আহূত হবে। তারা ভিন জাতির তাহযীব-তামাদ্দুনের আগ্রাসনের শিকার হবে। অন্যদের কৃষ্টি-কালচারের প্রতি তাদেরকে ডাকা হবে। এই হালত থেকে নিত্য নতুন আধুনিক অনেক তরীকা বের করা হবে এবং হচ্ছে। কিন্তু উম্মাহ প্রথম যুগে যেভাবে যে কাজে ইসলাহ-সংশোধন হয়েছে বর্তমান যুগেও সেভাবেই ইসলাহ হবে। অন্য কোন তরিকায় হবে না অবস্থার পরিবর্তন। এই ফিকির ও ভাবনা ঠিক নয় যে দাওয়াতে কাজ শুধু নবীজী ও সাহাবায়ে কেরামের যুগের জন্য সীমিত ছিল। মূলত নবীওয়ালা এই কাজ সর্বকালের সবার জন্য। কিয়ামত পর্যন্ত সময়ের জন্য। উম্মত যদি সম্মিলিতভাবে এই কাজ ছেড়ে দেয় তাহলে তাদের ধ্বংস অনিবার্য। সম্মিলিতভাবে নয় যদি ব্যক্তিগতভাবেও এ দাওয়াত ছেড়ে দেয়া হয় তাহলেও উম্মতের ক্ষতি হবে অপূরণীয়। এর প্রমাণ পাওয়া যায় প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত কা’ব ইবনে মালেক রাযি. এর জীবনে। তিনি যদিও বদরী সাহাবী ছিলেন না, কিন্তু গাযওয়াতে তাবুকে তিনি যেতে পারেননি। এ ঘটনা প্রসিদ্ধ। এই না যাওয়ার কারণে পঞ্চাশ রাত তাঁর জীবনে নেমে আসে দুঃখের ছায়া। তার ও তার দু’সাথীসহ দুঃখের মাঝে দিন কাটান। জমিন প্রস্তুত হওয়ার পরও তাদের জন্য হয়েছিল সংকীর্ণ। পুরো মদীনাবাসী তাদের বয়কট করেছিল। সালামের উত্তর দিত না। এ সময় গাস্সানের বাদশা তাঁর নামে রেশমের কাপড়ে পত্র পাঠিয়ে তাঁকে দাওয়াত দেয় যে, তোমার সাথী তোমার ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করেছে। আমাদের পথে এসো। তিনি এই পত্র আগুনে জ্বালিয়ে দেন এবং বলেন, এক মুসিবত শেষ হওয়ার আগেই আরেক মুসিবত এসে হাজির।সাহাবী হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে গাস্সানের বাদশা দাওয়াত দিলো। এ ঘটনা কিয়ামত পর্যন্ত সময়ের জন্য আমাদের জন্য শিক্ষা। দাওয়াত ছেড়ে শুধু আমল করলে দীনের হেফাজত হবে না। দীনের ওপর ইস্তেকামাত ও দীনের হেফাজত নির্ভর করে অন্যকে দাওয়াত দেয়ার ওপর, দীনের হেফাজত দাওয়াতের ওপর নির্ভরশীল। দাওয়াত না দিলে, বাতিলশক্তি এই উম্মতকে অন্য দিকে দাওয়াত দিবে।প্রিয় দোস্ত ও আযীয! ঈমান শিখতে হয়, ঈমানের মজলিস কায়েম করতে হয়। দাওয়াতের কাজে বুনিয়াদী সিফাত হলো ঈমানের সিফাত। কুরআন হাদীসে মুমিনকে দাওয়াত দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সাহাবায়ে কেরাম ঈমানের মজলিস কায়েম করতেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা রা. অন্য সাহাবীকে দাওয়াত দিয়ে বলতেন, এসো আমরা ঈমান আনি। অর্থাৎ ঈমানের আলোচনা করি। ঈমানের প্রতি দাওয়াত দেয়া প্রত্যেক মুমিনের দায়িত্ব, মুমিনের কাজ। প্রত্যেকেই অন্য কিছুর আলোচনা ছেড়ে আল্লাহ তাআলার জাত ও সিফাত, তাওহীদ ও আল্লাহর বড়াইয়ের দিকে দাওয়াত দিবে। মজার বিষয় হলো, একজন আমাকে প্রশ্ন করলেন, ঈমানেরও কি আবার মজলিস হয়? এই মজলিস দ্বারা কি ঈমান শক্তিশালী হয়? ইমাম বুখারী রহ. ঈমান শক্তিশালীকরণ বিষয়ে অধ্যায় সংযোজন করেছেন। হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা. অন্য সাহাবীকে দাওয়াত দিতেন। তাঁর মা’মুল ছিল তিনি বলতেন, এসো ঈমান আনি। এসো ঈমানের তাজদীদ-নবায়ন করি। কুরআন কারীমে ইরশাদ হয়েছে, ঈমান আন। অর্থাৎ ঈমান বৃদ্ধি কর। মূলত ঈমান অনুযায়ী ইতাআত-আনুগত্য হবে। দেল হলো ঈমানের জায়গা। কালেমার মেহনতের জায়গা। আমরা অনেকেই মনে করি, কালেমার দাওয়াত শুধু অমুসলিমদের জন্য। এ ধারণা ঠিক নয়। মুমিনদেরকেও কালেমার দাওয়াত দিতে হবে। আজ সর্বত্র আল্লাহর বড়ত্ব ও কুদরত ছাড়া বস্তুবাদী মাদ্দিয়াতের আলোচনা। আমাদেরকে বস্তুবাদী আলোচনা ছেড়ে আল্লাহর কুদরতের আলোচনা করতে হবে। এক সাহাবীকে রাসূল সা. জিজ্ঞেস করলেন, সকাল কিভাবে কাটিয়েছ? তিনি বললেন, ঈমানে হকের সাথে, সঠিক ঈমানের সাথে। তিনি বললেন, এর আলামত কী? তিনি বললেন, আরশ কুরসী আমার সামনে, কিয়ামতের বিষয়াদি আমাদের সামনে। আমার রূহকে দুনিয়া থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আখেরাতমুখি করেছি। নবীজী বললেন, তুমি ঈমানের পরিচয় পেয়েছ। এর ওপর অটল থাক। মূলত ঈমান এভাবে ছুটে যায় যেমন ছুটে যায় লাগামহীন উট। আমরা যেমন জামা খুলে ফেলি, ঈমানও তেমনিভাবে খুলে যায়। আমাদের ঈমানের আলোচনা বাড়াতে হবে, গালেব রাখতে হবে। সাহাবায়ে কেরাম ইলমের হালকা কায়েম করতেন। হযরত আবু হুরায়রা রা. ইলমের হালকা কায়েম করে অন্যকে দাওয়াত দিতেন এবং বলতেন, মসজিদে নবীজীর মিরাস বণ্টন হচ্ছে, আর তোমরা বাজারে? উম্মতকে সাহাবায়ে কেরাম যুহদ ও মেহনতের কথা বলে ঈমানের দাওয়াত দিতে হবে। আমাদের দাওয়াতের উদ্দেশ্য হলো দুনিয়ার নানা পরিবেশ থেকে ঈমানের পরিবেশে আনা। যেখানে আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো কিছুর আলোচনা থাকবে না। বস্তুবাদী নকশা ছেড়ে ঈমান বিল গায়েবের বিষয়ে দাওয়াত দেয়া। বেঈমানরা আল্লাহকে ছেড়ে কায়েনাত-চীজ ও আসবাবকে আল্লাহর জাত মনে করেছে। আর মুমিনরা কায়েনাতকে নয়, আল্লাহর আহকামকে আল্লাহ পাওয়ার মাধ্যম বানায়। লা ইলাহা ইল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা. এই কালেমার দাওয়াতের উদ্দেশ্য হলো, করণেওয়ালা জাত একমাত্র আল্লাহ। দুনিয়ার নকশা নয়। নবীজীর তরিকাই হল কামিয়াবীর একমাত্র পথ। যারা ঈমান রাখে না, তারা দুনিয়াকে আল্লাহর জাত মনে করেছে। তারা হুকুমতকে সম্মানের মাধ্যম বানিয়েছে। দোকানকে মাধ্যম বানিয়েছে লাভের। ঔষধকে বানিয়েছে আরোগ্যের। এটা আল্লাহর নেযাম নয়। আল্লাহর জাবেতা-নীতির কোন পরিবর্তন নেই। আল্লাহই সব করেন। দুনিয়ার মামুলী জিনিসের জন্য আল্লাহর হুকুম ছেড়ে দেয়া এ যুগের মুসলমানদের জন্য কোনো বিষয়ই নয়। আল্লাহর হুকুমকে মানতে হবে তাহলেই আল্লাহর নুসরত আসবে। আল্লাহর জাবেতা হল আল্লাহর আহকাম। আল্লাহর জাবেতা কায়েনাত নয়। এটা হলে এমন হতো না যে, সূর্য আছে কিন্তু আলো নেই, স্ত্রী আছে কিন্তু সন্তান হচ্ছে না, দোকান আছে কিন্তু লাভ হচ্ছে না। এ বিষয়গুলো বোঝায় যে, করণেওয়ালা জাত একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহর জাত থেকে সরাসরি ফায়দা পাওয়ার জন্য আল্লাহর হুকুম পালন করতে হবে। তাহলেই নুসরত আসবে। আসবাব বানানো আমাদের কাজ নয়। কাজ বানানেওয়ালা আল্লাহ তাআলা। অনেকেই ধারণা করেন, আমাদের কাজ হলো আসবাব, আল্লাহর কাজ হচ্ছে সাহায্য করা। এ ধারণা ঠিক নয়। হাদীসের প্রসিদ্ধ ঘটনা, তিন ব্যক্তি এক গুহায় আটকে যায় পাথরে মুখে এসে পড়ায়। তারা সম্মিলিত আমলের মাধ্যমে মুক্তি পায়। তারা তিন লাইনে আমল করেছে। একজন মায়ের সাথে সদাচরণ করেছিল, একজন চাচাতো বোনের সাথে অবৈধ কাজে লিপ্ত হওয়ার মুহূর্তে আল্লাহর ভয়ে বিরত থেকেছিল, অন্য একজন শ্রমিকের পারিশ্রমিক জমিয়ে রেখে আদায় করেছিল। এই ইহসান ও আখলাকের কারণে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। পাথর হটিয়ে দেন। বুঝা গেল, আল্লাহর হুকুমের মাধ্যমে সাহায্য আসে। আল্লাহর সাহায্য ও নুসরাত নবী ও সাহাবায়ে কেরামের সাথে নির্ধারিত নয়। সাহায্য নেওয়ার নীতিমালা সকলের জন্য একই। দোস্ত আহবাব! ঈমান কী? এ বিষয়ে রাসূল সা. জিজ্ঞাসিত হয়ে বললেন, তোমার নেককাজ যদি তোমাকে খুশি করে, অসৎকাজ যদি তোমাকে পেরেশানে ফেলে, তাহলে তুমি মুমিন। আমরা মনে করি, আমরা ঈমানদার। অথচ আমাদের আমল, আমাদের আখলাক, আমাদের ইবাদত, আমাদের মুআমালা, আমাদের মুআশারা ঈমানের খেলাফ। এক সাহাবীর পক্ষ থেকে নবীজীর দরবারে গীবত হয়ে গেল। নবীজী বললেন, তুমি কুরআনের খেলাফ করলে। যে ব্যক্তি কুরআনের হারামকে হালাল ভাববে। সে কুরআনের খেলাফ করল। আমাদেরকে কালেমার ইখলাস হাসিল করতে হবে। ঈমান ও ইখলাস একই। কালেমার ইখলাস হলো হারাম থেকে বিরত থাকা। ঈমান হল উটকে লাগাম লাগানোর মতো। এর দ্বারা উটকে যেভাবে ইচ্ছা পরিচালনা করা যায়। অনুরূপ মুমিন ঈমান দ্বারা পরিচালিত হবে। নামাযের জন্য আমরা যেমন শরীর পাক করি, অযু- গোসলকে জরুরি মনে করি, অনুরূপভাবে আমাদের শরীরকে হারাম থেকে বিরত রাখতে হভে। শরীরের রক্তকে হালাল দ্বারা পাক করতে হবে। গাড়ী পরিচালনার জন্য যেমন পরিচ্ছন্ন ডিজেল ও মবিল প্রয়োজন, অনুরূপ জীবনের গাড়ি পরিচালনার জন্য হালাল খাবার প্রয়োজন। আমাদেরকে মুআমালাত ঠিক করতে হবে। আমাদের মুআমালাত যদি অন্য জাতির ন্যায় হয় এবং ইবাদত হয় নবীজীর তরীকায় তাহলে আমাদের উন্নতি হবে না। নামাযের জন্য যেমন তাহারাত জরুরি, অনুরূপ মুয়ামালাতের ক্ষেত্রে আহকামের ওপর আমল করা জরুরি। হারাম রক্তের কারণে আমাদের শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছে, দেল খারাপ হয়ে যাচ্ছে। দেল দ্বারা রক্ত প্রবাহিত হয়ে যাচ্ছে। তাই সারা শরীর চলে আল্লাহর হুকুম ছাড়া। হালাল খানার মাধ্যমে আমাদের শরীরের রক্তকে পরিশোধিত করতে হবে।এই যুগে সাহাবায়ে কেরামের মতো ঈমান সৃষ্টি করতে হলে আমাদেরকে হায়াতুস সাহাবা তালীম করতে হবে। যারা সময় লাগিয়েছেন বা এ কাজকে মহব্বত করেন, তাদেরকে অবশ্যই হায়াতুস সাহাবা ও মুন্তাখাব আহাদীস তালীম করতে হবে। হযরতজী ইউসুফ রহ. কে জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনার পরে এ কাজ কীভাবে চলবে- এর একটি রূপরেখা তৈরি করে দিন। তিনি বললেন, এ কাজের নমুনা আমি নই, এ কাজের নমুনা হচ্ছেন সাহাবায়ে কেরাম। তাই তিনি একটি হায়াতুস সাহাবা সংকলন করেছেন। এই কিতাব তালীম করলে ঈমান শক্তিশালী হবে। উম্মত বুঝবে ঈমানের হাকীকত। ঈমানের দাবীতে নিজকে গড়তে পারবে। দীনের দাওয়াত নিয়ে ঘোরাফেরা করা সাহাবায়ে কেরামের কাজ। সকল উম্মতকে তাদের অঙ্গনে দাওয়াতের কাজ করতে হবে। দুনিয়ার কোনো প্রান্তে যদি আল্লাহর হুকুম লঙ্ঘন হয়, তাহলে তার মুকাবেলায় সকলকে কাজ করতে হবে। যেমন- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. বলেন, যদি কোনো গ্রাম আল্লাহর কোনো হুকুম ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হয়, তাহলে তাদের সাথে কিতাল ও লড়াই করতে হবে। এক হুকুমের জন্য হযরত আবু বকর রা. মদীনাকে খালি করতে চেয়েছিলেন। নবীজীর ওফাতের পর যাকাত দিতে যারা অস্বীকার করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে তিনি বলেছিলেন, তারা যদি যাকাতের প্রাণীর রশি দিতেও অস্বীকার করে তাহলে আমি আবু বকর তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করব। দীনের ক্ষতি হবে আর আমি আবু বকর জীবিত থাকবো! তারা মূলত পূর্ণ হুকুম অস্বীকার করেনি। আংশিক হুকুম অস্বীকার করার কারণে আবু বকর রা. মদীনা খালি করতে চেয়েছিলেন। জিন্দেগীতে ঈমান আনার জন্য সাহাবায়ে কেরামের তরিকাই কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। আমাদের গভীরভাবে ভাবতে হবে, আমাদের চালচলন ও নকল হরকত যদি সাহাবায়ে কেরামের মতো না হয় তাহলে হেদায়েত আসবে না, নুসরত আসবে না। আর সাহাবায়ে কেরামের ঈমান আখলাক-ই হলো মূল। মুহতারাম দোস্ত! আমাদের ভুল হলো সাহাবায়ে কেরামের নকল ও হরকতকে অনেকেই সে যুগের সাথে সীমিত করে ফেলে এবং আল্লাহর সাহায্যের বিষয়টিকে কেবল কিতালের সাথে সম্পৃক্ত মনে করে। এটি একটি মারাত্মক ভুল। উম্মতের কারণে জুমুদ ও জড়তা বিরাজ করছে এ কারণেই। সাহাবায়ে কেরামের নকল ও হরকত ও দাওয়াতী কাজকে কিয়ামত পর্যন্ত চলবে এটা মনে করতে হবে। সাহাবায়ে কেরাম যেভাবে আল্লাহর সাহায্য পেয়েছেন, তা এ যুগেও পাওয়া যাবে। নবীজী বলেছেন, তোমাদের পরবর্তীতে আগত একজন মুমিনের মদদ, তোমাদের দশজনের ন্যায় হবে। অন্য হাদীসে এসেছে আমার পরবর্তীতে আগত একজন মুমিনের আমলের আজর ও বদলা তোমাদের পঞ্চাশজনের মতো হবে। এ সকল ওয়াদা ও নুসরত তখনই হবে, যখন উম্মত সাহাবায়ে কেরামের মতো কাজ করবে। দাওয়াতের কাজ নিয়ে মহল্লা থেকে ফিরবে পৃথিবীর পথে পথে।
অনুলিখন :: মাওলানা লাবীব আব্দুল্লাহ,ইসলামি বার্তা ২০১১,০৭
Grosvenor Hotel Casino & Spa: Luxury Hotel in Israel - Air
ReplyDeleteGrosvenor air jordan 18 retro super site Hotel Casino & Spa where can you buy air jordan 18 retro is situated on the top level of Israel's renowned how can i get air jordan 18 retro men Gold Coast and features over 2,000 air jordan 18 retro yellow suede to us guest rooms. Located in the centre of air jordan 18 retro to my site