Tuesday, 4 September 2012

দ্বীন কায়েমের জন্য ইবরাহিমী মেজাজ তৈরি করতে হবে


মাওলানা শওকতুল্লাহ, দিল্লী
[২১ জানুয়ারি ২০১১, বৃহস্পতিবার, বাদ মাগরিব]

মেরে ভাই দোস্ত ও বুযুর্গ! আল্লাহতাআলা এই উম্মতকে এ জন্য দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন যে, তারা দুনিয়াতে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করবে। এজন্য যত জান-মালের প্রয়োজন হয় তারা তা ব্যয় করতে কার্পণ্য করবে না।  এ উম্মত ইবরাহিম আ. এর দোয়ার ফসল। ইবরাহিম আ. দোয়া করেছিলেন, “হে আল্লাহ! তুমি দুনিয়াতে এমন একটি উম্মত তৈরি কর, যারা তোমার দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করবে। সারা পৃথিবীতে দ্বীন ছড়িয়ে দেবে। এমন একটি শক্ত উম্মত তুমি দুনিয়াতে পাঠাও।”
ইবরাহিম আ. আরো দোয়া করেছিলেন, “আমি তোমার হুকুম পেয়ে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। আমার সন্তানকে মরুভূমিতে খাদ্য-পানি ছাড়া রেখে এসেছি। ইসমাইলকে তোমার হুকুমে কুরবানী করেছি। এ ব্যাপারে আমি তোমার হুকুমের বিন্দুমাত্র পিছপা হইনি।  তোমার কাছে আমার অনুরোধ, দুনিয়াতে এমন এক উম্মত পাঠাও যারা দ্বীনের জন্য আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ার হুকুম এলে আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়বে। জীবন কুরবানী দেয়ার হুকুম এলে জীবন কুরবানী করবে। তোমার হুকুমের কোনোরূপ ব্যতিক্রম করবে না। যারা দুনিয়াতে তোমার নাম উঁচু করার জন্য মুজাহাদা চালিয়ে যাবে।” এটি ছিল ইবরাহিম আ. এর প্রথম দোয়া। তার দ্বিতীয় দোয়া ছিল, হে আল্লাহ! তুমি দুনিয়াতে এমন একজন নবী প্রেরণ করÑ যিনি আমার স্বপ্নকে দুনিয়াতে বাস্তবায়ন করবে। তোমার জাতকে প্রতিষ্ঠিত করবে।
ইবরাহিম আ. এর দোয়ার কারণে আল্লাহ তায়ালা হযরত মুহাম্মদ সা. কে এমন করে পাঠিয়েছেন। আর এই নবীর উম্মতই হলাম আমরা, যার জন্য ইবরাহিম আ. দোয়া করেছিলেন। নবী মুহাম্মদ সা. দুনিয়াতে এসে ইবরাহিম আ. -এর রেখে যাওয়া স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা শুরু করলেন। উম্মতকে ডেকে বললেনÑ আমার পরে কোনো নবী আসবে না। তোমরা দ্বীনের কাজ করবে আমার দাদা ইবরাহিম আ. -এর মেজাজে। নবী করিম সা.ও উম্মতের মাঝে চেষ্টা-মুজাহাদা চালিয়েছেন ইবরাহিমী মেজাজে। রাসুল সা. এর মেহনতে সাহাবারা এমন ঈমান তৈরি করেছেন যে, তাদেরকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়তে বলা হলে তারা তাই করত।
নবী করিম সা. এর মক্কার ১৩ বছরের দাওয়াত ছিল মেজাজ তৈরির দাওয়াত। এ মেহনত এমনই ছিল যে, মানুষের পাথর দিল ফুলের মতো নরম হয়ে গেছে। ৩৬০ মূর্তির পূজা করা দিল দ্বীনের মেহনতে পরিণত হয়েছে। এ মেহনত তখনকার ছিল যখন মানুষ কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দিত। গোলামকে অমানষিক নির্যাতন চালাত। দয়া কী জিনিস তারা জানত না। আবু জাহেল বলত তোমাদের কোনো মেয়েকে যদি জীবন্ত কবর দিতে ভয় হয় তবে ওমরকে দায়িত্ব দিও। তার দিল কখনও ভীত হয় না। এই ছিল ওমর। কিন্তু রাসুল সা. এর দাওয়াতের ফলে তার ঈমান এতই শক্ত হয়ে গেল যার কোনো তুলনাই হয় না।
ওমর রা. এর শাসনাকালে একবার বাগদাদে বিশাল বন্যা হল। ওমর রা. নিরাপত্তা বাহিনীকে হুকুম দিলেন কোনো অবস্থাতেই যেন একজন মানুষেরও ক্ষতি না হয়। একদিন বাগদাদ থেকে একটি চিঠি এল। লেখা হয়েছেÑ আল্লাহর রহমতে বন্যায় একজন মানুষেরও ক্ষতি হয়নি। তবে একটি কুকুর মরে পানিতে ভেসে গেছে। ওমর এটি পড়ে কাঁদতে শুরু করলেন। আর বলতে লাগলেনÑ আমাকে যখন আল্লাহ জিজ্ঞেস করবে হে ওমর! তোমার শাসনামলে একটি কুকুর পানিতে পড়ে মারা গেল কেন? এর জবাব দাও? তখন আমি কি জবাব দেব? দোস্ত! বুঝে দেখুনÑ যার দিল ছিল এত নিষ্ঠুর, সে দাওয়াতের মেহনতে এত বুঝমান হয়ে গেল। নিজের ১০ মেয়েকে জ্যান্ত কবর দেয়ার পরও যার একটু দয়া হল না, একটি কুকুর মরাতে তার এত ভয় হচ্ছে! এই হল ইবরাহিমী দাওয়াতের মেজাজ। একবার ওমর রা. কাবাঘর জিয়ারত করছিলেন। হাজরে আসওয়াদ চুমো দেয়ার সময় বললেন, হে পাথর! তোমাকে আমি কখনোই চুমো দিতাম না। আমি জানি তোমার কোনো শক্তি নেই। কিন্তু আমি আমার হাবিবকে চুমো দিতে দেখেছি তাই তোমাকে চুমো দিচ্ছি। রাসূলের প্রতি আমাদের মহব্বতও এমন হতে হবে। পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে। দুনিয়াতে যা কিছু আছে, ছোট বড় সব আল্লাহর সৃষ্টি। এসব ব্যক্তিগত কোনো অর্জন নয়। যতক্ষণ আল্লাহ এসব রাখবেন ততক্ষণ এসব থাকবে। যখন ধ্বংস করবেন তখন ধ্বংস হয়ে যাবে।
ইবরাহিম আ. কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করতে দেখে জিবরাইল আ. সাহায্য করতে আসলেন। তাকে দেখে ইবরাহিম আ. বললেন, তোমার সাহায্য আমার কোনো প্রয়োজন নেই। যদি আমার রব আমাকে আগুনে জ্বালাতে চান, আমি আগুনে জ্বলতে প্রস্তুত। আর যদি আমাকে সাহায্য করতে চান, তার সাহায্যই আমার জন্য যথেষ্ট। ইবরাহিমী মেজাজ ছিল এমনই। সবকিছু ভুলে গিয়ে আল্লাহর জাতের ওপর আস্থা স্থাপন করা অপরিহার্য।
ঈমান যখন পরিপূর্ণতা পাবে আল্লাহ তাআলা গায়েবীভাবেই তাকে সব অনিষ্ট থেকে হেফাজত করবেন। ইবরাহিম আ. এর ঈমান পূর্ণ ছিল তাই আগুন থেকে তাকে রক্ষা করেছেন। আগুন তার জ্বালানো ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। ইবরাহিম আ. আগুনে অবস্থানের দিনগুলোর স্মৃতি বর্ণনা করছিলেনÑ আমি যতদিন আগুনে ছিলাম ততদিন এমন শান্তিতে ছিলাম যেমন শান্তি আর কখনোই পাইনি। আমাদের ঈমানকেও তাই এমন পরিপূর্ণ করতে হবে। পাকাপোক্ত করতে হবে।
ভাই, দোস্ত ও বুযুর্গ! আল্লাহ তাআলার শক্তি সবখানে সমানভাবে চলে, চাই মাখলুক ছোট হোক অথবা বড়, পাহাড়-জঙ্গলে হোক আর অন্য যে কোনো স্থানেই হোক না কেন। আল্লাহ সবার রিযিক সমানভাবে পৌঁছাতে পারেন। প্রত্যেকের খোঁজ-খবর নেয়া তার জন্য এতটুকু কষ্টও হয় না। বলা হয়েছে, অন্ধকার রাতে কালো পাহাড়ের পাদদেশে একটি ছোট্ট কালো পিপড়ার নরম পায়ের আওয়াজও আল্লাহ শোনেন। এসব প্রতিবন্ধক আমাদের জন্য, খালেকের জন্য নয়।  ভাইয়েরা! দুটি বস্তু এমন রয়েছে, যার থেকে কেউ দূরে থাকতে পারে না। ১. মানুষ যদি লোহার খাঁচার মধ্যেও প্রবেশ করে। সেখানে কোনো বাতাস পৌঁছে না, আলো পৌঁছে না। কিন্তু মৃত্যুর সময় এলে সেখানেও আজরাইলের হাত থেকে বাঁচতে পারবেনা। ২. রিযিকের সময় হলে বান্দা যেখানেই থাক, তার নিকট রিযিক পৌঁছবেই। কেউ বাঁধা দিতে পারবে না।
মুহতারাম দোস্ত! আরেকটি কথা হলো, আল্লাহ তাআলা বান্দার রিযিকের জন্য খাদ্য-শস্যের মুহতাজ নন। খাদ্য ছাড়াও তাদের রিযিক দিতে পারেন। যেমন কিয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে যখন ঈমান নিয়ে থাকা কঠিন হবে। মানুষ তখন পাহাড়ে আশ্রয় নেবে। ক্ষিধে পেলে তারা তাসবিহ পড়বে। আল্লাহ তাদের ক্ষিধে মিটিয়ে দেবেন। এটাও রিযিক। সমস্ত মাখলুকের রিযিকদাতা আল্লাহ। কার কী রিযিক সেটাও তিনিই জানেন। প্রত্যেকের রিযিক ঠিকমতো পৌঁছেও দিচ্ছেন।
ভাইয়েরা! মাখলুকের মধ্যে ছোট পিপড়া আছে, আজরাইলের মতো বড় ফেরেশতাও রয়েছে। তারা যদি সবাই একত্রে কোনো একটা বস্তু সৃষ্টি করতে চায়, যা আল্লাহ চান না, তা কখনো হবে না। হতে পারে না। প্রকৃত ঈমানের দাবি এটাই।
মুহতারাম দোস্ত! ঈমানের দ্বারা সেই ঈমানই উদ্দেশ্য, যা শিরকমুক্ত হবে। আমরা মুর্তির শিরক বুঝি। কিন্তু শিরক এখানেই শেষ নয়। গোপন শিরক নামেও একটি বিষয় আছে। রাসূল সা. হযরত মুয়াজকে বলেন, হে মুয়াজ তোমার ঈমানকে খালেস করো, সামান্য আমলই মুক্তির জন্য যথেষ্ট হবে।
হযরত আবু হুরাইরা রা. একটি হাদিস বলে খুব কাঁদতেন। তা হলো- তিন ব্যক্তি এমন রয়েছে, কিয়ামতে তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। ১. সেই মুজাহিদ যে নিজের বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য জিহাদ করেছে। ২. সেই দানশীল, যে সুনামের জন্য দান করেছে। ৩. সেই আলেম, যে ইলমে দ্বীন শিখেছে সুনামের জন্য।
ভাইয়েরা! মুর্তির শিরক সহজেই বুঝা যায়। ঈমানেও শিরক রয়েছে। মানুষ কোনো সমস্যায় পড়লে অন্যের দ্বারস্থ হয়। তার দ্বারা উপকৃত হওয়ার আশা করে। আল্লাহর দিকে মুতাওয়াজ্জু হয় না। এটাও শিরক। আমাদের দোয়াও শিরক থেকে পাক হতে হবে। দোয়া করার সময় যখন জবান, দিল-মন সবই আল্লাহর জাতের প্রতি নিবদ্ধ থাকে তখন কোনোভাবেই আল্লাহ তাকে কোনো মাখলুকের দিকে ঠেলে দেবেন না। তার দোয়া অবশ্যই কবুল করবেন। তাকে নিজের সাথে মিলিয়ে নেবেন। তার সব সমস্যা দূর করে দেবেন। তাকে সব পেরেশানী থেকে মুক্তি দেবেন।
মুহতারাম ভাই! যেই ঈমান এমন যে, দিল আল্লাহর দিকে নিবদ্ধ। দৃষ্টিও আল্লাহর প্রতিই ঝুঁকে থাকে। সমস্ত মাখলুক থেকে মুখ ফিরিয়ে যে আল্লাহর দিকেও দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে। দিল যখন এমন হবে- তখন আল্লাহ তাকে শিরকমুক্ত আমল করার তাওফিক দেবেন। তার দোয়া, তার ইবাদত, তার পরোপকার সবই হবে আল্লাহর জন্য। সে সামান্য সময়ের জন্যও আল্লাহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে না। সে যেই দোয়াই করবে আল্লাহ তাআলা তার সেই দোয়াই কবুল করবেন।
মুহতারাম দোস্ত! হযরত ওমরের সময় একবার পাহাড় থেকে আগুন বেরিয়ে এলো, ওমর চিন্তা করলেন- আগুন বের হওয়া এটাও রাসূলের ভবিষ্যতবাণী। আবার আগুন তাড়িয়ে নেবে কে? সেটাও নবীর ভবিষ্যৎ বাণী। তিনি হযরত তামিমে দারীকে হুকুম করলেন, “তামিম যাও। আগুনকে তার স্থানে পৌঁছে দিয়ে এসো।” তামিম গেলেন। তার রুমালের ভয়ে আগুন ছাগলের পালের মতো দৌঁড়ে চলতে লাগলো। পাহাড়ের যেখান থেকে বেরিয়েছিল, সেখানেই ঢুকে পড়লো। তামিম তাকে বললেন, কিয়ামত পর্যন্ত এখান থেকে বের হতে পারবে না। এখানেই থাকবে। তার জন্য এটা সম্ভব হয়েছিল একমাত্র শিরকমুক্ত ঈমানের কারনে, অন্য কিছু নয়।
ভাইয়েরা! ওমরের খেলাফতকালে একবার হেজায থেকে এক মহিলা মদীনায় চলে এলো। লোকজন আশ্চর্য হলো। একজন ষোড়শী একাকী এলো কিভাবে? ওমর তাকে জিজ্ঞেস করলেন, রাস্তা তোমার নিকট কেমন মনে হলো? সে উত্তরে বললো, রাস্তায় রাত হলে যতো বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি সবগুলো আমার নিজের বাড়ি মনে হয়েছে। আর যতো পুরুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে, সবাইকে আমার আপন ভাইয়ের মতো মনে হয়েছে। কেউ আমার প্রতি লোলুপ দৃষ্টি নিয়ে তাকায়নি। এটা একমাত্র খালেস ঈমানের কারনে হয়েছে।
মুহতারাম ভাইয়েরা! মানুষ যখন তার বাহ্যিক জীবনকে পবিত্র করে, আবার ঈমান আমলও শিরক থেকে পাক করে, তার জন্য আল্লাহ ঘোষণা করেন, নিশ্চয়ই আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। তাকে মাফ করে দেব। তাকে অন্যের নিকটে সোপর্দ করে লাঞ্ছিত করবো না।
পক্ষান্তরে যে আল্লাহর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে মাখলুকের দিকে তাকায়, অন্যের দুয়ারে ধর্না দেয়। আপন ঈমানকে লজ্জিত করে তখন আল্লাহ তাকে ভৎর্সনা করতে থাকেন- হে আমার বান্দা! তুমি এই সামান্য বস্তুর জন্য তোমার প্রিয় রব থেকে দূরে চলে যাচ্ছ। তার চেয়ে দয়ালু আর কাকে পাবে?
দোস্ত! হযরত ওমরের সময় একবার নীলনদ শুকিয়ে গেল, ওমর রা. নদীকে বললেন, “হে নীল নদ! তুমি তো আল্লাহরই সৃষ্টি। তুমি যদি আল্লাহর হুকুম মানতে বাধ্য থাক, তবে তার হুকুমে প্রবাহিত হও।” তারপর থেকে অদ্যবধি সেই নীল নদ আর শুকায়নি। সর্বদা প্রবাহমান রয়েছে। এটাই মিল্লাতে ইবরাহীমের পথ। যে কেন সমস্যা আসুক তার সমাধান একমাত্র আল্লাহ থেকেই নিয়েছেন। রাসূল সা. এমনটা করেছেন। সাহাবায়ে কেরাম তার নিকট থেকে শিখেছেন। আমাদেরকেও সেই তারতিব থেকে শিখতে হবে। দ্বীনের লাইনে বেরিয়ে কাজ শিখতে হবে। আপন ঈমানকে — করার প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তবেই আমরা কামিয়াব হতে পারবো।
দোস্ত! ইবরাহীম আ. -এর তারতিব ছিলÑ তিনি তাকাযা নিজে তৈরি করতেন। নিজ জান-মাল-ব্যয় করে তা পূরণ করতেন। রাসূল সা.ও তাই করতেন। মদীনার অলিতে-গলিতে ঘুরে দাওয়াত দিতেন। যারা ঈমান আনতো, তাদেরকে মসজিদে এনে তালিম দিতেন। হিসেব করলে দেখা যায়, সাহাবায়ে কেরামের বছরের চার মাস মদীনার বাইরে দাওয়াতে কাটতো। আর মদীনার মধ্যের অর্ধেক সময়ও দাওয়াতে কাটতো। এমনিভাবে তাদের জীবিকা অর্জনের সময় কমে গেল। এতে তারা এতটুকুও শঙ্কিত হতেন না। এমনকি অবস্থা এমন হলো যে, হুজুর সা. একবার নামাযে দাঁড়িয়েছেন। পেছনের সাহাবারা খিদের তাড়নায় পড়ে বেহুশ হয়ে গেছেন। নামায শেষ করে রাসূল সা. তাদের অবস্থা দেখে সান্ত্বনা দিলেন, বললেন- তোমরা যদি জানতে- এই ক্ষিধের জাযা কি হবে, তাহলে তোমরা সামান্য কষ্টও পেতে না। এতে কিয়ামতের দিন হিসাবের ভার কমে আসবে।

অনুলিখন : রোকন রাইয়ান ও আবুল কালাম আনছারী

No comments:

Post a Comment