মাওলানা মুহাম্মদ সা’দ, দিল্লী
[হেদায়েতী বয়ান, ২৩ জানুয়ারি ২০১১, রোববার]
মেরে ভাই ও দোস্ত! আমাদেরকে দাওয়াত দিতে হবে- আসবাবের মোকাবিলায় ঈমানের। কারণ সবার মধ্যে এই ধারণা বদ্ধমূল হয়ে আছে যে, আমি চাকরি করবো। তাই আল্লাহ খাওয়াবেন। আমি ব্যবসা করবো, আল্লাহ খাওয়াবেন। বরং আল্লাহর ওয়াদা রয়েছে এ কথার ওপর যে, বান্দা তার ঈমান ঠিক করে আল্লাহর ইবাদত করবে তো আল্লাহ তাকে খাওয়াবেন। ইবাদতের সঙ্গেই আল্লাহর ওয়াদা রয়েছে। আসবাবের সঙ্গে তার ওয়াদা নেই। আমরা নামাযের দাওয়াত দেবো। কারণ কালেমার পর মুসলিমের ওপর সর্বপ্রথম ফরজ হলো নামায। কারো নামায ঠিক হয়ে গেলে সবই ঠিক হবে। অর্থাৎ ইবাদত ঠিক হলেই আমাদের রিযিকের ফায়সালা হবে। অন্য সবই আসবে আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে। একবার রাসূলের প্রিয় কন্যা হযরত ফাতেমা রা. খুব কষ্টে ছিলেন। অভাবের কারণে তাদের খাওয়ার কোনো বস্তু ছিল না। তিনি রাসূল সা. এর নিকটে গেলেন। বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা খুব ক্ষুধার্ত। তাসবিহ তো ফেরেশতাদের খোরাক। তারা তাসবিহ পড়লেই তাদের খাবার চাহিদা শেষ হয়ে যায়। আর আমাদের খাদ্য চাহিদা আসবাবের ওপর নির্ভর করে। আমাকে খাবারের কিছু দিয়ে দিন। রাসূল সা. তার কথা শুনলেন। তারপর বললেন, ফাতেমা! তোমার খাবার জন্য যদি পেরেশানী থাকে, তবে আমার নিকট অনেকগুলো দুম্বা আছে। তোমাকে সেগুলো দিয়ে দিতে পারি। তবে কতক্ষণ পূর্বে জিব্রাইল আ. এসে আমাকে পাঁচটি কালেমা শিক্ষা দিয়ে গেছে। তুমি চাইলে সেগুলো নিয়ে যেতে পারো। ফাতেমা রা. কোনো কথা না বলে কালেমা নিয়ে ফিরলেন। হযরত আলী রা.কে বললেন, আমি দুনিয়া প্রার্থনার জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আখেরাত নিয়ে ফিরে এসেছি। এখানে তিনি আমাদেরকে আমল শিখিয়েছেন। তিনি আসবাবের পেছনে না পড়ে আমল নিয়ে ফিরেছেন। আমরা ব্যবসা করি, সরকারি চাকরি করি। নামাযের সময় হয়ে যায়, তবু দোকানে-অফিসে বসে থাকি। কারণ আমাদের অন্তরে এ কথা বসে আছে যে, রিযিক আসবাবের দ্বারাই আসে। এজন্য আমাদের সর্বপ্রথম এ কথার দাওয়াত দিতে হবে যে, রিযিক আল্লাহ দেন। সর্বপ্রথম নামাযের জন্যই দাওয়াত দিতে হবে।হাদীস শরীফে এসেছে, মুসলিম ও অমুসলিমের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য নামায, এমনটা কল্পনা করা যায় না যে, কোন কাফের নামায পড়বে। আর কোনো মুসলিম নামায পড়বে না। নামায ছেড়ে দেবে। ইসলামে নামাযই সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত। আমরা যদি এই নামায ঠিক করে নেই, তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে। আমরা এখন আল্লাহর রাস্তায় আছি। এখানে আমাদের নামাযের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। ধীরে-স্থিরভাবে রুকু করবো। রুকু থেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়াবো। দীর্ঘ কেরাত দ্বারা নামায পড়বো। নামাযে দাঁড়িয়ে এমন মনে করবো যে, আল্লাহ আমাকে দেখছেন। আমার কেরাত, তাসবিহ শুনছেন। আমিও আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছি। যদি এভাবে ইবাদত করি, তাহলে আমার উবাদত অবশ্যই কবুল হবে। এই অবস্থা একদিনে আসবে না। বারবার প্রতিদিন প্রচেষ্টা চালাতে হবে। অবিরাম চেষ্টা করে যেতে হবে। তবেই আমাদের নামায ঠিক হবে। আমাদের ইবাদত ঠিক হয়ে যাবে। আর এভাবে নামায আদায় করে আল্লাহর নিকট দুআ করলে, আল্লাহ তার সব প্রয়োজন পূরণ হবে। আমরা নামাযের মাধ্যমেই আল্লাহর কাছ থেকে সবকিছু পেতে পারি। রাসূল সা. এর জামানায় একবার অনাবৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। কোথাও পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। চারিদিকে শুধুই হাহাকার। জুমার দিন। রাসূল সা. মিম্বরে দাঁড়িয়েছেন খুতবা দেয়ার জন্য। মসজিদের মধ্যের দরজায় দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর কাছে বৃষ্টির দুআ করুন। কোথাও তো পানির ব্যবস্থা নেই। লোকজন হাহাকারে পড়ে গেছে। রাসূল সা. সেখানে থেকেই হাত উঠালেন। আল্লাহর কাছে পানির জন্য বৃষ্টির দুআ করলেন। তিনি হাত নামানোর পূর্বেই দেখা গেল, বৃষ্টির পানিতে তার দাড়ি মোবারক ভিজে গেছে। এভাবে এ সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টি হতে থাকলো। খাল-বিল, নদী-নালা সব ভরে গেল। পরের জুমার দিন সেই সাহাবী আবারো রাসূল সা. এর কাছে দুআ চাইলেন। রাসূল সা. আল্লাহর দরবারে দুআ করলেন। বৃষ্টি বন্ধ হয়ে রোদ উঠলো। রাসূল সা. এখানে আমাদেরকে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ থেকে নেয়া শেখালেন। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে, তোমরা সাহায্য চাও আল্লাহর নিকট সবর ও নামাযের মাধ্যমে। অতএব, আমরা যদি আল্লাহর কাছে দুআ করি, তাহলে অবশ্যই আমাদের দুআ কবুল হবে। সব প্রয়োজন পূরণ হবে। তবে আরেকটি কথা মনে রাখতে হবে- ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য আমাদের খাদ্য, আমাদের কামাইও হালাল হতে হবে। নইলে কোন ইবাদত কবুল হবে না। কোনো দুআও কবুল হবে না। সমস্যা নিরসনের জন্য দুআ করলে, আল্লাহ তার জবাবে বলবেন, তোমার দুআ কিভাবে কবুল করি? তোমার খাবারে হারাম, পোশাকে হারাম। সবাই হারামে ভরপুর। তার দুআ কবুল হবে না। সুতরাং আমাদের কামাই, আমাদের ইনকাম হালাল হতে হবে। ভাই ও দোস্ত! আমাদের দায়িত্ব অনেক। সবগুলোই আঞ্জাম দিতে হবে। আমাদের সব কিছু ঠিক করার জন্য ইবাদত প্রথম শর্ত। আর ইবাদত মসজিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। সে জন্য মসজিদের দিকে অগ্রসর হতে হবে। মসজিদের দিকেই দাওয়াত দিতে হবে। মসজিদে নিয়মিত তালীমের ব্যবস্থা করতে হবে। লোকজনকে সেখানের দাওয়াত দিতে হবে। তারা যখন সময় দিতে রাজি হয়, তখনই তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে তালীম করতে হবে। কেননা আল্লাহ তাআলা তালীমের ব্যাপারে অনেক ওয়াদা করেছেন। অনেক দাওয়াতের ঘোষণা দিয়েছেন। সেগুলো জানার জন্য সওয়াব পাবো যে, সেটার বিশ্বাস সৃষ্টির জন্য তালীমের মজলিসে বসবো। দীনের কথা-ঈমানের কথা বারবার পড়বো, শুনবো। পরিপূর্ণ মনোযোগসহ শুনবে। তবেই তাতে বিশ্বাস আসবে। আর তালীম চলার সময় অন্যদেরও ডাকতে হবে। যেন মসজিদের পবিত্র পরিবেশে এসে অন্যরাও উপকৃত হতে পারে। সবাই উত্তম কাজে শরীক হতে পারে। এজন্য মসজিদে আসার ফযীলত-উপকারিতা বয়ান করতে হবে। মসজিদে এলে আল্লাহ তাকে মাফ করে দেবেন, তাকে দীনের জন্য কবুল করে নেবেন। তাকে শান্তি দেবেন। তাকে জান্নাত দান করবেন। সর্বোপরি তার জন্য রহমতের ফায়সালা করবেন। মসজিদে এলে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাকে এভাবে অনেক পুরস্কার দেবেন। এখন ফযীলত বলে সবাইকে তালীমের মজলিসে বসানোর চেষ্টা করবে। তবে একটা কথা স্মরণ রাখতে হবে যে, আমাদের কাজ বান্দার কাজ বন্ধ করা নয়। তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট, কল-কারখানা বন্ধ করে দেয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তাদেরকে বুঝিয়ে মসজিদে নিয়ে এসে মসজিদেই তাকে বুঝাতে হবে। বাইরে তাকে বুঝাতে গিয়ে সময় নষ্ট করবো না। এভাবে মসজিদে বারবার তালীমের মজলিসে বসে আমাদের ঈমান মজবুত করতে হবে। আল্লাহর কাছ থেকে সবকিছু নেয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এভাবে বেশি বেশি তালীমের দ্বারা ফযীলতগুলো আমার মুখস্থ হয়ে যাবে। সে অনুযায়ী আমল করাও সহজ হয়ে যাবে। মেরে ভাই ও দোস্ত বুযুর্গ! প্রত্যেক আমল কবুল হওয়ার জন্য যেমন ইখলাস জরুরি, তেমনিভাবে আমলটা রাসূল সা. এর তরীকা অনুযায়ী হওয়াও অপরিহার্য। আর রাসূল সা. এর তরীকা জানার জন্য ইলম জরুরি। সে জন্য আমাদের বেশি বেশি তালীম শুনতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো- আমাদের সন্তানদেরকে কুরআনী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। প্রতিটি মহল্লার প্রতিটি মসজিদে কুরআনী মক্তব কায়েম করতে হবে। যদি আগে থেকেই মক্তব থাকে, তাহলে সেটাকে আরো জোরদার করতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, এটাও আমাদের গাশতেরই একটি অংশ। ছেলেদের যদি সকাল বেলা স্কুল থাকে, তবে বিকেলে তাদের মসজিদে পড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। মাদরাসায় পড়ানোর ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে। তবেই আমাদের কওম, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম ইসলামের ওপর থাকবে। আমাদের সামনে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো যিকির। আরো মনোযোগ দিয়ে, দিল ও মন লাগিয়ে আল্লাহর যিকির করবো। যিকিরহীন দেল মরা। তাতে কিছুই থাকে না, সেজন্য আমাদের যিকির করতে হবে। আর যিকির করতে হবে দেল দিয়ে, মন লাগিয়ে। কেননা যিকিরে মনোযোগ না থাকলে অলসতা আসে। আর এতে বিদআতের সৃষ্টি হয়। সেজন্য আমরা বেশি বেশি যিকির করবো এবং দেল লাগিয়ে করবো। তাহলে আমাদের অন্তর জীবন্ত হবে, ঠোঁট তরতাজা হবে। কিয়ামতের মুক্তি এর উপরই নির্ভর করছে। উল্লিখিত কালেমা, নামায, ইলম ও যিকির, এসব তখনই কাজে লাগবে, যখন আমরা সেগুলো সাহাবা কেরামের তরিকা অনুযায়ী করবো। যদি তাদের তরিকা অনুযায়ী করি তবেই আল্লাহর ওয়াদা ফযীলত পাওয়া যাবে। সাহাবায়ে কেরাম হেঁটে হেঁটে দীনের দাওয়াত দিয়েছেন। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দাওয়াত দিয়েছেন। আমরা যদি আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে মানুষদের দীনের দাওয়াত দিই। তাহলেই কেবল যেসব সওয়াব পেতে পারি। আমরা যতো দ্রুত দীনের পথে, আল্লাহর রাস্তায় বের হবো, ততোই বেশি সওয়াব পাবো। রাসূল সা. এর সময়। তিনি একবার একটি জামাত তৈরি করে আল্লাহর রাস্তায় পাঠিয়ে দিলেন। তারা চলে গেল। রাসূল সা. তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি এখনো যাওনি কেন? সাহাবী উত্তর দিলেন, আমরা সঙ্গে জামাতে নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে দেরি করছি। রাসূল সা. তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, যারা তোমার আগে চলে গেছে, তারা জান্নাতে তোমার চেয়ে কমপক্ষে পাঁচশো বছরের রাস্তা এগিয়ে গেছে। এখান থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি যে, আমরাও যখন আল্লাহর রাস্তায় বের হবো। তখন যতো দ্রুত সম্ভব বের হবো। জামাতের রুখ দিয়ে দেয়া হলে- এলাকা নির্ধারণ করে দেয়া হলে আমরা দ্রুত বেরিয়ে পড়বো। এতেই আমাদের কামিয়াবী। আরেকটি কথা হলো, আল্লাহর রাস্তায় যতদূর সম্ভব পায়ে হেঁটে চলবো। এতে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে। আবার অধিক লোকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার কারণে তাদেরকে দাওয়াত দেয়ারও সুযোগ হবে। এ কথার অর্থ এই নয় যে, প্রয়োজন হলেও আমরা যানবাহন ব্যবহার করবো না। দূরবর্তী স্থানে যেতে হলে তো অবশ্যই যানবাহনে যেতে হবে। তবে সেখানেও যাদেরকে পাবো, তাদেরকে দীনের দাওয়াত দেবো, হিকমতের সঙ্গে সবার কাছে দীনের দাওয়াত পৌঁছানোর চেষ্টা করবো। আমরা যেই এলাকাতেই যাবো, যাওয়ার সময় মাসনূন দুআগুলো পড়ে যাবো, সেখানে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে দু’রাকাত নামায আদায় করে এলাকাবাসীসহ সারা বিশ্বের সবার জন্য, সবার হেদায়েতের জন্য দুআ করে নিবো। তার আগে আমাদের নিয়তকে খালেস করে নেই। এমন যেন না হয় যে, এখানে এসেছি আমার কোন আত্মীয়-স্বজনের সাথে সাক্ষাতের জন্য বা অন্য কোনো স্বার্থ সিদ্ধির জন্য। তাহলে আমাদের সবকিছু ভণ্ডুল হয়ে যাবে। মূল উদ্দেশ্যই পূরণ হবে না। নামায শেষে আমাদের প্রথম কাজ হবে, মাশওয়ারা-পরামর্শ করা। এটাকে কোনো সাংগঠনিক কাজ মনে করবো না। বরং এটাকে একটা ইবাদত মনে করবো। সবাই যার যার মতামত পেশ করবে। অতি নগণ্য কারো মতামত নেয়ার ক্ষেত্রেও সবাই উদগ্রীব হয়ে থাকবে। কারো মতের বিরোধিতা না করা। আবার নিজের মতামত উল্লেখ করার পরও তার ওপর আলোচনা করা থেকে বিরত থাকা। আমীর সাহেব যেটার ফায়সালা করেন, সেটাকেই নিজের অভিমত বলে মনে করা। মাশওয়ারায় সর্বপ্রথম নিজেদের খাবার ব্যবস্থাপনা করা, যেন কেউ এমনটা ভাবতে না পারে যে, আমরা অন্যদের কাছে কিছু পাওয়ার আকাক্সক্ষী। অন্যদের নিকট থেকে চাই। অন্যদের মুখাপেক্ষি। অন্যদের দাওয়াতের সুযোগ না দিয়ে আমরা নিজেদের খাবারের ব্যবস্থা নিজেরাই করবো। এতে এলাকার মধ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। আল্লাহর রহমতও বর্ষিত হবে। মাশওয়ারায় অন্য সব কাজেরও তারতীব ঠিক করে নেয়া। এলাকায় দাওয়াতের ক্ষেত্রে ব্যক্তিত্বের প্রতিও কিছুটা লক্ষ্য রাখা, যাকে দাওয়াত দেয়া হচ্ছে, তার কোনো দোষ-ত্র“টি না ধরা। কারণ দোষ ধরলে সে কোনো কথাই শুনবে না। এজন্য তার ভালো দিকগুলো উল্লেখ করে তার দ্বারা কাজ নেয়ার চেষ্টা করা। আমরা যেই মহল্লায় যাবে, যেই মসজিদে যাবো, সেখানের সবগুলো মসজিদে পাঁচ কাজ চালু করা ও প্রতিটি ঘরে তালীম চালু করা এবং ছয় নম্বরের মুজাকারা চালু করা। যেন ঘরের মহিলারাও দীনের দা‘য়ী হয়ে যায়। সবার ঘরে ঘরে দাওয়াত ও তাশকিলের কাজ জমিয়ে তোলা। এমনটা যেন না হয় যে, আমরা শুধু মসজিদ অতিক্রম করে চলে গেলাম। মনে রাখতে হবে, আমাদের কাজ চিল্লা পূরণ করা নয়। আল্লাহর দেয়া জান-মাল তার পথে বেরিয়ে সঠিক ব্যবহার শেখা এবং নিজ কর্তব্য পালনই আমাদের দায়িত্ব। আমরা যদি তার পরিপূর্ণ হক আদায় করতে ব্যর্থ হই, তবে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। অতএব, আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী প্রত্যেকেই চেষ্টা করি ও আল্লাহর কাছে দুআ করি। আল্লাহ সবাইকে দীনের জন্য কবুল করেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মানুষের হেদায়েতের ফায়সালা করুন। আমীন।
অনুলিখন :: আবুল কালাম আনছারী
No comments:
Post a Comment