|
লিখেছেন : প্রতিবাদী পথিক
|
আমার
বাবাকে আমি কখনো নামাজ ‘না’ পড়তে দেখিনি। আর বাবারা যেখানে নামাজ পড়েন
সেখানে অশিক্ষিত মায়েদের নামাজ না পড়ার কোন কারন নেই। মা-কে প্রশ্ন
করেছিলাম, ‘বাবা কখন থেকে নিয়মিত নামাজ পড়েন?’ উত্তরে মা বলেছিলেন যে
তিনি বাবার ঘরে আসার পর থেকে এমনই দেখে আসছেন। উল্লেখ্য আমার মা-বাবার যখন
বিয়ে হয় তখন মা’র বয়স বারো আর বাবার বাইশ।
সেই ছোট বেলায় একবার স্কুল ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করে বই পড়তে গিয়ে হাতের কাছে কোন বই না পেয়ে মা-কে বলে বাবার আলমারী খুলতে একটা বই হাতে চলে এলো। বইটির নাম ছিল, ‘মেরাজুল আশেকীন’। এই বইটিতে কোরানে উল্লেখিত আদম (আঃ) থেকে শেষ নবী মুহাম্মদ (সঃ) পর্যন্ত সকল নবী ও রাসুলের সংক্ষিপ্ত জীবনী, বেহেস্তের অনাবিল শান্তি ও দোজখের ভয়ানক আজাব, কোন কাজের কি পরিণাম, কি পরিমান পাপ বা পূণ্য এবং সেই পাপের শান্তি বা পূণ্যের পুরুস্কার আল্লাহ কি দিবেন ইত্যাদির বর্ণনা ছিল। তখন আমার মাত্র কৈশোর শুরু। ঠিকমতো বইটি হয়তো বুঝতেও পারিনি কিন্তু এতটুকু বুঝতে পারছিলাম যে আমরা একসময় আল্লাহর কাছে ছিলাম এবং আবার এক সময় তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে। এবং সেই ফিরে যাওয়াটা কিন্তু স্বাভাবিক নয়। শেষ বিচার, পুল সেরাত, দোজখ আরো কতকিছু পার হয়ে যাওয়া। তবে যারা ঈমানদার হয়ে যাবেন তাঁদেরকে এ কঠিন কোন কিছুর মুখাপেক্ষী হতে হবে না। যেহেতু আমরা পৃথিবীতে এসে গেছি তখন শেষ বিচারের সেই ভয়ানক দিনে হাজির থাকতেই হবে - এতে সামান্যতম সন্দেহ নেই। এটা ‘ওয়ান ওয়ে’ রাস্তার মতো - মৃত্যুর পর ভুলটা হাতেনাতে বোঝার পর ফেরার কোন পথ নেই। আর এটা ভেবে আমার চোঁখ দিয়ে ভয়ে, শংকায় পানি এসে গিয়েছিল। ছোট বেলায় মা বুঝিয়ে শুনিয়ে কিংবা জোর করে এলাকার মসজিদ ও মক্তবে ‘ইমাম বা মুয়াজ্জীন’ সাহেবের কাছে আরবী পড়তে পাঠাতেন। সেই সময় মা-র চেষ্টায় যতটুকু আরবী শেখা হয়েছিল তা-ই দিয়ে জীবনের এতটা সময় চালিয়ে নিয়ে আসলাম। জীবনে বড় হবার বাসনায়, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করেও শান্তি পেলাম না; পারি জমালাম অষ্ট্রেলিয়াতে উচ্চ শিক্ষা আর প্রতিষ্ঠার আশায়। তাই ধর্ম শিক্ষা বা চর্চাকে আর গুরুত্ব দেয়া হয়নি। ধর্মটা হয়ে গেল অনেকের মতো আমার জীবনে পোষাকী; মন চাইলে পড়লাম নতুবা পড়লাম না। তবে হৃদয় মাঝে খচ্খচানিটা রয়েই গেল। পক্ষান্তরে হৃদয়ের সেই প্রোথিত বিশ্বাসেই হোক কিংবা মা-বাবার দোয়ার কারনেই হোক অথবা আল্লাহর অসীম রহমতেই হোক - এমন কোন অন্যায় জীবনে করতে হয়নি যা নিজেকে তাড়িয়ে বেড়ায়। শোকর আল্লাহর॥ অষ্ট্রেলিয়ায় প্রতি বছর তিন দিনের এক এজতেমা বা সমাবেশ হয়; যেখানে ইসলাম প্রাকটিশিং মনোভাবাপন্ন লোকজন ভীড় জমায়। ২০০৩ সালের এজতেমাটি হয়েছিল ‘মেলবোর্ণ’-এ। ওখানে যেয়ে এক বক্তার বক্তব্য শুনে মনে ভীষণ চাপ অনুভব করলাম। বক্তার নাম মাহবুব এলাহী রুমি। পুরো অষ্ট্রেলিয়ার ইসলামী বাঙালী সমাজে তাঁকে কেউ চেনে না বা তাঁর নাম শোনেনি এমন লোক পাওয়া যাবে না। তিনি পুরানো ঢাকার এক বনেদী পরিবারের সন্তান ও ধানমন্ডি বয়েজ, ঢাকা কলেজ এবং বুয়েট থেকে পাশ করা মেধাবী ছাত্র। এখানে এসে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রী নিয়েছেন। বর্তমানে ব্রিসবেনের গ্রিফিথ য়্যুনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করেন। যদ্দুুর তার কাছে জানতে পারি তা হলো অষ্ট্রেলিয়ান প্রথম দিকের জীবনে সেও আমাদের মতো আধুনিক যুবক ছিলেন। কিন্তু কিছুদিনেই তার ভিতর পরিবর্তন আসা শুরু হয়। তাকে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘রুমি ভাই আপনার ভিতর এ পরিবর্তন কিভাবে শুরু হলো?’ উনি বলেছিলেন, ‘সর্বোপরি আল্লাহর ইচ্ছা আর আমার স্ত্রীর অনুপ্রেরণা।’ জীবনের সাফল্যে বা ব্যর্থতায় একজন স্ত্রীর কত ভূমিকা থাকতে পারে তা গল্প-উপন্যাসে অনেক পড়লেও রুমি ভাইকে দেখে মনে হয়েছে - এর চেয়ে বড় বাস্তব উদাহরণ আর কি হতে পারে! রুমী ভাবী যে অল্প শিক্ষিতা বা গরীব পরিবারের মেয়ে তা কিন্তু নয়। তাদের পরিবারও আর এক নামকরা বনেদী পরিবার আর রুমী ভাবীও আধুনিক শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিতা এক বাঙালী রমণী। তার চেয়েও বড় কথা মানুষের পরিচয় তার কাজে; বংশে নয়। হাদিসে এসেছে, ‘পৃথিবীতে সে-ই সুখী মানুষ যে চারটি জিনিস পায় ১. জিকিরকারী জবান (যার জিহ্বা আল্লাহর জিকির করে), ২. শোকরগুজারী দিল (যার অন্তর আল্লাহর প্রদত্ত সকল নেয়ামতের শোকর আদায় করে) ৩. কষ্টসহিষ্ঞু শরীর (আল্লাহর পথে ও আল্লাহর জন্য) এবং ৪. নেক্কার বিবি (যার স্ত্রী ইসলামিক সৎ জীবন যাপন করে)।’ সে অর্থে রুমী ভাই নিঃসন্দেহে একজন সুখী মানুষ। রুমী ভাই সেদিন তার বক্তব্যের মাঝে কোরানের একটি ছোট্ট সুরার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, ‘আল্লাহকে বুঝতে চাইলে, ইসলামকে বুঝতে চাইলে এই একটি সুরা বুঝতে পারলেই যথেষ্ট।’ আমি জুলাই ২০০৫-এর মাঝামাঝি সিডনী ছেড়ে পাকাপাকিভাবে থাকার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ‘ব্রিসবেন’ আসি। আমি জানতাম রুমী ভাই ব্রিসবেন থাকেন এবং ‘হল্যান্ড পার্ক মসজিদ’-এ তার নিয়মিত যাতায়াত। আমি জানতাম যে কাউকে তার কথা জিজ্ঞেস করলে তার সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা করতে পারব। কিন্তু আমার ইচ্ছে ওনাকে আমি মসজিদে ধরব। তখন অস্থায়ীভাবে আমি থাকা শুরু করেছি ‘ওয়েস্ট ইন্ড’-এর পাশের সাবার্ব ‘হাইগেট হিল’-এ। ২৯শে জুলাই শুক্রবার লাটহুইচ মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করে অনির্দিষ্টভাবে ড্রাইভ করতে করতে বিকেলে পৌঁছলাম হল্যান্ড পার্ক মসজিদে। আছরের নামাজ শেষ হয়ে গেছে। মসজিদ খোলাই ছিল। আমি আছরের নামাজ আদায় করে সেলফ্ থেকে একটা ইসলামিক বই নিয়ে পড়তে বসলাম। ইচ্ছে মাগরিব আদায় করে বাসায় ফিরব। যেহেতু আমি নতুন তাই কাউকে চিনি না। রুমী ভাইকে চিনি কিন্তু তাঁকে মাগরিবের নামাজে মসজিদে পেলাম না। আশেপাশে কিছু বাঙালী মুখ দেখলাম কিন্তু নিজ থেকে পরিচিতি হবার ইচ্ছে হলো না। নামাজ শেষ করে মসজিদ থেকে বের হতে যাচ্ছি এমন সময় মাঝ বয়স্ক এক ভদ্রলোক আমাকে সালাম দিয়ে প্রশ্ন করল, ‘আই থিংক ইউ আ নিউ হিয়ার। আই হেভন্ট্ সিন ইউ বিফোর। এনিওয়ে, হোয়ার আর ইউ র্ফম?’ আমার পরিচয় দিতেই উনি মসজিদে উপস্থিত দুইজন বাংলাদেশী বাঙালী সেলিম ভাই ও ডঃ শামসুল ইসলাম সাহেবের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। দু’জনেই জানতে চাইলেন আমার কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা। দু’জনকেই মনে হলো ইসলামে নিবেদিত প্রাণ। তারা আমার সাথে পরিচিত হওয়া ও কুশলাদী বিনিময়ের পড়ে যখন শুনলেন যে আমি ‘হাইগেট হিল’-এ থাকি তখন তারা আমাকে তাবলিগ-এর দাওয়াত দিলেন। তারা জানালেন পরের দিন অর্থাৎ শনিবার দশটা-এগারোটায় হলেন্ড পার্ক মসজিদ থেকে ওয়েস্ট ইন্ড মস্জিদে জামাত যাবে এবং থাকবে রবিবার মাগরিব পর্যন্ত। আমার যদি সময় থাকে যেন আমি ওনাদের সাথে সময় দেই। যেহেতু কোন কাজ ছিল না, তাই কথা দিয়ে আসলাম আমি যাব। যদিও বাংলাদেশ থেকেই তাবলিগের সাথে জড়িত লোকজনদের আমি খুব একটা ভালো চোখে দেখি না। কিন্তু চিন্তুা করলাম উল্টা-পাল্টা ঘুরে না বেরিয়ে মসজিদে সময় কাটানোতে লাভ বই তো লোকসান নেই। তারপরেও শনিবার সকালে শয়তানে পেয়ে বসল। উঠছি-উঠব করে বিছানা ছাড়লাম দুপুর বারোটার দিকে। যাচ্ছি যাব করে মসজিদে গেলাম প্রায় দেড়টার দিকে। মসজিদের প্রবেশ করে দেখতে পেলাম চার-পাচঁজন লোক আর তাদের মধ্যে রুমি ভাই। রুমি ভাইকে এ্যাত একান্তে পাব এটা আমি ভাবতে পারিনি। কারন ২০০৩ - এর ‘মেলবোর্ণ এজতেমা'তে কিংবা ২০০৫-এর ‘সিডনী এজতেমা’তে তাকে পেয়েছিলাম শত শত ভক্তের মাঝে। ঐ দিন তার সামনে তাবলিগ জামাতের নিয়মানুযায়ী সুরা ফাতিহা ও কোরানের শেষ ১০টা সুরা পড়তে গিয়ে আবিষ্কার করলাম যে একটা সুরাও আমি পুরোপুরি শুদ্ধ উচ্চারণে পড়তে পারি না। উনি তখন কোরান, হাদিস বা ইজমা-কিয়াসের উদ্ধৃতি দিয়ে বললেন, ‘কোরাণ তেলাওয়াত করা সুন্নত; তবে কোরান পড়লে শুদ্ধ করে পড়া ফরজ আর তেলাওয়াত শোনা ওয়াজিব।’ তার এ কথা শুনে আমার শরীরে শিহরণ বয়ে গেল এ জন্য যে কত রাত জেগে জেগে রবীন্দ্রনাথ বা নজরুল বা অন্য কত লেখকের লেখার ব্যাখ্যা মুখস্ত করেছি শুধুমাত্র পরীক্ষায় পাশের আশায়; সেখানে শেখার কোন কাপর্ণ্য ছিল না। পক্ষান্তরে ফরজের মতো বিষয়গুলোকে আমি কতটা হেলাফেলা করে দেখে এসেছি। আল্লাহ যে আমাদের সুস্থ, সবল করে তৈরী করেছেন আর আলো, বাতাস, অক্সিজেন, সুস্থ হার্ট, রক্ত সঞ্চালনসহ আরো কত কিছু যে বিনা পয়সায় এবং কষ্টহীনভাবে পেয়ে যাচ্ছি তার শুকরিয়া আদায় করি ‘পোষাকী’ নামাজ, রোজা আর লোক দেখানো দান-খয়রাত আর হজের মাধ্যমে। যদি খাদ্য কেনার মতো করে প্রতি নিয়ত অক্সিজেন কিনতে হতো, আলো-বাতাস কিনতে হতো কিংবা এগুলোর জন্য যদি পানি, গ্যাস বা কারেন্ট বিলের মতো মাস শেষে বিল দিতে হতো তবে আমাদের দশা কি হতো!! খাদ্যের সাথে তুলনা করে যদি অন্য বিষয়গুলিকে বিবেচনায় আনি তাতে তার প্রতিদান স্বরূপ যদি আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ান্তে সারা জীবন নামাজে সেজদায় পড়ে থাকি তবুও তাঁর নেয়ামত বা পুরুস্কারের শুকরিয়া আদায় শেষ হবে না। এটা গেল একভাবে ভাবা। এবার অন্য ভাবে চিন্তা করি। পৃথিবীটা ক্ষণস্থায়ী। পরকাল চিরস্থায়ী। ক্ষণস্থায়ী জীবনের কমপক্ষে ষোল থেকে বিশ বছর পড়াশোনা করে কোন মতে একটা চাকুরী যোগাড় করে জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে কি পাই? হয়তো সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে কোন মতে মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই। আর সন্তান-সন্ততি। তারপরেও ছেলেমেয়ে যদি ধর্মীয় চেতনায় শিক্ষিত না হয়ে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয় তবে বাবা-মা’র ঠাই হয়ে যায় ‘ওল্ড হোম’ বা রাস্তায়। আর সন্তান-সন্ততি যদি বখাটে হয়ে যায় তবে তো কথাই নেই। সূতরাং ষোল বা বিশ বছরের সাধনার ফলাফল কি দাঁড়ালো বিশাল এক ‘শূন্য’। সেই হিসাবে ভুল-ভাল সুরা আর কোরান পড়া, আর ‘পোষাকী’ নামাজ আদায় ও ধর্ম চর্চার মাধ্যমে আমরা কি ভাবে আশা করতে পারি যে তার প্রতিদান স্বরূপ অনন্তকালের জন্য আল্লাহ আমাদের বেহেশত দিয়ে দিবেন!!! এ্যাত অন্যায় বা অনিয়ম করার পরেও যদি আমরা বেহেশত্ আশা করি তবে তিনি দোজখ বানিয়েছেন কাদের জন্য! পবিত্র কোরাণে আল্লাহ নিজেই বলেছেন, ‘আমি মানুষ ও জ্বিন জাতিকে একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।’ আর আমরা যেন ইবাদত থেকে দূরে সরে না যাই তাই তিনি আমাদের জন্য এক লক্ষ চব্বিশ হাজার বা (মতান্তরে) দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গম্বর (নবী ও রাসুল) পাঠিয়েছেন। ১০৪টি আসমানী কেতাব পাঠিয়েছেন। তারপরেও আমরা আল্লাহকে ‘ব্লেম’ দেই বা দোষারোপ করি। এরপরেও কি আমরা আশা করতে পারি যে আল্লাহ আমাদের শাস্তিহীনভাবে স্বর্গে পাঠাবেন? বাংলাদেশে বসে ওয়েষ্টার্ণ জীবনকে কত সুন্দর ভেবেছি। ভাবতাম ওদের মতো সুন্দর, ভালো মানুষ বুঝি আর দুনিয়াতে নেই। অষ্ট্রেলিয়া আসার পর যেটা বুঝতে পারলাম; তা হলো - ‘নদীর ওপারে সব সময়ই সব সুখ বিরাজ করে।’ কোন স্ত্রী কি চায় তার স্বামী অন্য কোন মেয়ের সাথে ঢলাঢলি করে বেড়াক কিংবা কোন পুরুষ কি চায় তার স্ত্রী অন্য কোন ছেলের সাথে নিবিড় সম্পর্ক রাখুক। আমাদের কালচারে তো প্রশ্নই আসে না। এদের কালচারেও এরা আশা করে না। প্রশ্ন হলো, যে সমাজ ব্যবস্থায় ছেলে মেয়ে ১৮ বছর পার হলে পায় অবাধ সেক্সের স্বাধীনতা। এই অবাধ সেক্সের কারনে অ্যাবরশন তো পান্তা ভাত। তারপরেও অনেকে সন্তান নিয়েও নেয় কিন্তু লিভ টুগেদারের মাধ্যমে প্রাপ্ত সন্তানের প্রতি ভালোবাসা লিভ টুগেদার শেষ হবার সাথে সাথে নিঃশেষ হয়ে যাওয়াই তো স্বাভাবিক। ফলে এই সকল সন্তান মা-বাবার আদর সোহাগের বাইরে বেড়ে ওঠে। যে সন্তানের জন্মটাই হয়েছে ‘কামনা’ থেকে সেই সন্তানকে কে সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার ভালোবাসা দিবে?? তাছাড়া এ ভালোবাসা সন্তানকে একমাত্র মা-বাবাই দিতে পারেন; অন্য কারো পক্ষে সম্ভব নয়। যৌবনের শুরু থেকেই যারা অবাধ সেক্সে বেড়ে উঠেছে তারা কিভাবে বিয়ের পর এক পুরুষ বা এক নারী নিয়ে সুখে থাকবে??? এখানে সেক্স এত অবাধ যে মা ও মেয়ের সাথে একই লোকের সেক্সের ঘটনা খুবই সাধারণ। বাবা-মেয়ে বা মা-ছেলের সাথে সেক্স হয়ে যায়। যদিও এটা স্বাভাবিক ঘটনা নয়; তবুও হয়েছে। অ্যালকোহল পেটে পড়লে আর জড়াজড়ি করলে কতক্ষন মাথা ঠিক থাকে!!! যে দেশগুলিতে কাপড় খুলে ন্যুড পার্কে অবাধে যেয়ে আদিম প্রবৃত্তিতে মেতে ওঠা যায়। যে দেশে ব্যাক্প্যাকারে পরিচিত বা অপরিচিত ছেলেমেয়ে এক সাথে থাকে। ইচ্ছে হলেই সেক্স করে আবার সকালে যার যার মতো চলে যায়; কেউ কাউকে মনেও রাখে না। যে দেশে অপরাধের মুল কারণ অ্যালকোহল। একদিকে অ্যালকোহল (মদ), ক্যাসিনো (জুয়া), স্কট (কর্ল গার্ল)’র অবাধ প্রচারণা আবার অন্যদিকে এগুলো না করার জন্য বিধিনিষেধ। সে দেশে কি সুষ্ঠু কোন সমাজ ব্যবস্থা থাকতে পারে? যেটা আছে সেটা বাহ্যিক; মাকাল ফলের মতো। |
No comments:
Post a Comment